হাজীগঞ্জে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক আহত, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী


চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় উভয় পক্ষের প্রায় অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন। শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে পৌরসভার টোরাগড় ওয়ার্ডের ৭ ও ৮ নম্বর বিএনপি ও তাদের অঙ্গসংগঠনের কর্মীরা হাজীগঞ্জ বাজার সংলগ্ন ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সর্দার বাড়ির বিএনপি কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। সংঘর্ষ একপর্যায়ে বাজার এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে এবং চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়কের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে আতঙ্কিত হয়ে শত শত মানুষ আশপাশের মার্কেট ও হাসপাতালগুলোতে ছুটতে বাধ্য হন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় টোরাগড় ও মকিমাবাদ এলাকার বিএনপি কর্মীদের মধ্যে প্রথমবার সংঘর্ষ হয়, যার ফলে বেশ কয়েকজন আহত হন। রাতে সংঘর্ষের পর বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেওয়া হয় এবং কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। পরের দিন সকালে হাজীগঞ্জ থানায় উভয় পক্ষের মধ্যে বৈঠক হলেও কোন সমাধান না হওয়ায় পরিস্থিতি আরো উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।

পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসন সংঘর্ষ থামানোর চেষ্টা করলেও রাত ১০টার পর সেনাবাহিনী এসে পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে নেয়। হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ফারুক বলেন, "বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এই সংঘর্ষ হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।" আহতদের মধ্যে ১৭ জনকে হাজীগঞ্জ উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং গুরুতর আহত তিনজনকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।

স্থানীয় প্রশাসনের মতে, পরিস্থিতি এখন শান্ত থাকলেও এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।