শাহরাস্তিতে বন্যাদুর্গতদের পাশে জেলা প্রশাসক, উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নে ত্রাণ বিতরণ

 

চাঁদপুর জেলার জেলা প্রশাসক ও ম্যাজিস্ট্রেট জনাব কামরুল হাসান,  আজ শাহরাস্তি উপজেলার সূচিপাড়া উত্তর ও সূচিপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে বন্যাদুর্গত মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন। এ সময় তিনি বন্যাদুর্গত মানুষের সাথে কথা বলেন ও তাদের পরিবারের খোঁজখবর নেন। জেলা প্রশাসক বন্যার্তদের দুর্দশা সরাসরি দেখতে তাদের কাছে যান এবং তাদের বিভিন্ন সমস্যার কথা শোনেন। তিনি এই সময়ে মানবিক সহায়তা দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন এবং সকলকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান।
ছবি: সংগৃহীত

চাঁদপুর জেলার জেলা প্রশাসক ও ম্যাজিস্ট্রেট জনাব কামরুল হাসান,  গতকাল ২২ আগস্ট শাহরাস্তি উপজেলার সূচিপাড়া উত্তর ও সূচিপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে বন্যাদুর্গত মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন। এ সময় তিনি বন্যাদুর্গত মানুষের সাথে কথা বলেন ও তাদের পরিবারের খোঁজখবর নেন। জেলা প্রশাসক বন্যার্তদের দুর্দশা সরাসরি দেখতে তাদের কাছে যান এবং তাদের বিভিন্ন সমস্যার কথা শোনেন। তিনি এই সময়ে মানবিক সহায়তা দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন এবং সকলকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান।


ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমের সময় জেলা প্রশাসক বলেন, “বর্তমান পরিস্থিতিতে সরকারের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। আমরা আপনাদের পাশে আছি এবং আপনাদের জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছু সরবরাহ করা হবে।” ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমে, শুকনো খাবার, বিশুদ্ধ পানির বোতল, ওষুধ, এবং অন্যান্য জরুরি সামগ্রী বিতরণ করা হয়। এছাড়াও, স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তায় আরো ত্রাণ সামগ্রী সরবরাহ করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। জেলা প্রশাসক বন্যাদুর্গতদের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করে বলেন, “আমরা জানি, এই পরিস্থিতি আপনারা কিভাবে কাটাচ্ছেন। তবে আপনাদের সাথে সরকার আছে, এবং আমরা সবাই মিলে এই পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠবো।”


উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বন্যাদুর্গতদের জন্য আশ্রয়কেন্দ্র স্থাপন, শাহরাস্তি উপজেলার বন্যাদুর্গত মানুষদের সাহায্যের জন্য উপজেলা প্রশাসন বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। উপজেলা প্রশাসন ঘোষণা করেছে যে, প্রয়োজন অনুযায়ী মানুষজনকে নিকটস্থ বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র, কলেজ, সরকারি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয় নেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। এসব স্থানে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা, বিশুদ্ধ পানির সরবরাহ এবং প্রয়োজনীয় অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হবে।


উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বলেন, “আমরা বন্যাদুর্গতদের প্রয়োজনীয় সকল সহায়তা নিশ্চিত করার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করছি। আমরা চাই সবাই নিরাপদে থাকুক এবং কোনো রকম ঝুঁকি না নিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিক।” তিনি আরো বলেন, “আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে বন্যার্তদের জন্য খাদ্য, পানি এবং চিকিৎসা সহায়তার ব্যবস্থা করা হবে। উপজেলা প্রশাসনের এ উদ্যোগে স্থানীয় নেতৃবৃন্দ, এনজিও, স্বেচ্ছাসেবক দল ও সাধারণ মানুষ সমর্থন জানিয়েছে। প্রশাসনের উদ্যোগে যারা এখনো বন্যার্তদের পাশে দাঁড়ায়নি, তাদেরকে দ্রুত এগিয়ে আসার আহ্বান জানানো হয়েছে।