শাহরাস্তিতে গ্যাস সিলিন্ডারের উচ্চ মূল্য রাখা হলে অভিযোগ জানাবেন যেভাবে
ছবি: সংগৃহীত |
বাজার মনিটরিংয়ের সময়, রেজওয়ানা চৌধুরী বাজারের বিভিন্ন পণ্যের মান, পরিমাণ এবং দাম যাচাই করেন। তিনি বিভিন্ন দোকানদার ও ভোক্তাদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলেন এবং তাদের থেকে মতামত নেন। অতিরিক্ত দাম আদায় ও মূল্য তালিকা না রাখার মতো অপরাধের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়ে এসিল্যান্ড বলেন, "আমরা কোনোভাবেই সাধারণ জনগণের ভোগান্তি মেনে নেবো না। বাজারে মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে আমরা নিয়মিত অভিযান চালিয়ে যাব। সকল ব্যবসায়ীকে আইন মেনে ব্যবসা পরিচালনা করতে হবে। যারা আইন ভঙ্গ করবেন, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।" শুধু বাজার মনিটরিং নয়, এদিন তিনি উপজেলার কালিয়াপাড়া টু দোয়াভাঙা পর্যন্ত খাল পুনরুদ্ধারের কার্যক্রমও পরিদর্শন করেন। উক্ত উপজেলার খালগুলো অনেকদিন ধরে ময়লা আবর্জনা এবং অবৈধ দখলের কারণে জলাবদ্ধতার সমস্যায় ভুগছিল। এর ফলে, এই খালের পানি প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয় এবং আশেপাশের এলাকায় জলাবদ্ধতার সমস্যা তীব্র আকার ধারণ করে।
রেজওয়ানা চৌধুরী জানান, উপজেলা প্রশাসন ও পৌরসভার সমন্বিত প্রচেষ্টায় খাল পুনরুদ্ধারের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। কালিয়াপাড়া টু দোয়াভাঙা পর্যন্ত এই খাল পুনরুদ্ধারের কাজ চলছে এবং আমরা আশাবাদী যে এটি সম্পন্ন হলে এলাকার জলাবদ্ধতা সমস্যা কিছুটা সমাধান হবে। তিনি আরো জানান, খালের দুপাশে যেসব অবৈধ স্থাপনা রয়েছে, সেগুলো উচ্ছেদ করার জন্য দাপ্তরিক প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। এই খালের আশেপাশের জনগণকে অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, আপনারা খালের দুই পাশে আর কোনো ময়লা আবর্জনা ফেলবেন না এবং খালের স্বাভাবিক পানি প্রবাহ বজায় রাখতে সহায়তা করবেন। এই খাল পুনরুদ্ধারের কার্যক্রমের মাধ্যমে উক্ত এলাকার জলাবদ্ধতা সমস্যা সমাধানের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তিনি জানান, আমরা সকলকে অনুরোধ করছি খালের পাশে আর ময়লা না ফেলতে, এবং যারা অবৈধভাবে খাল দখল করেছেন, তারা দখল ছেড়ে পানি প্রবাহ স্বাভাবিক করতে আমাদের সহায়তা করবেন।
এসিল্যান্ডের এই পদক্ষেপগুলো উপজেলার ব্যবসায়ী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। অনেকে এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, এটি শুধু বাজার মনিটরিংয়ের মাধ্যমেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং সামগ্রিকভাবে শহরের পরিবেশ ও জনজীবনের মান উন্নয়নেও ভূমিকা রাখবে। উপজেলার সাধারণ মানুষ এই ধরণের কার্যক্রমকে উৎসাহিত করার পাশাপাশি বাজারে মূল্য নিয়ন্ত্রণের জন্য নিয়মিত মনিটরিং কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। তারা বিশ্বাস করে যে, এই ধরনের কার্যক্রম শুধু ব্যবসায়ীদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করবে না, বরং সাধারণ ভোক্তাদের জন্যও একটি সুরক্ষিত বাজার পরিবেশ নিশ্চিত করবে।
উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, এই ধরণের অভিযান এবং বাজার মনিটরিং কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে, যাতে বাজারে পণ্যের মান ও মূল্য নিয়ে কোনো অসঙ্গতি না থাকে। এছাড়াও, খাল পুনরুদ্ধারের কাজ যাতে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পন্ন হয়, সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। এসিল্যান্ড রেজওয়ানা চৌধুরীর নেতৃত্বে এই ধরণের কার্যক্রম শহরের সার্বিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করা নিটিজনরা নেটিজনরা।