ইসরাইলকে স্বীকৃতি দানের মাধ্যমে আমিরাতে গৃহ বিবাদের শুচনা

গতকাল ইসরাইলকে স্বীকৃতি দানের মাধ্যমে আজ থেকে আরব আমিরাতে গৃহ বিবাদের শুচনা হল!!

কারন আরব আমিরাত অন্য সকল দেশের মত একক কোন রাষ্ট্র নয়।আপনাকে বুঝতে হবে, যে কোন দেশে একজন শাসক থাকলেও আরব আমিরাতে রয়েছে সরাসরি ৭ জন শাসক। ৭ টি প্রদেশে ভাগ করা এই ৭ জন শাসকের ক্ষমতা নিজ নিজ প্রদেশে সর্বোচ্ছ, মানে এক প্রদেশের শাসক অন্য প্রদেশের শাসকের অভ্যন্তরিন বিষয়ে নাক গরাতে পারেনা।

আবুধাবী, দুবাই, শারজাহ, আজমান, ফুজিরা, রাস আলখাইমা, উম্মোল কোয়াইন এই ৭ টি প্রদেশের মধ্যে সর্বপ্রথম প্রথ ভ্রষ্ট হয় আবুধাবীর যুবরাজ মুহাম্মদ বিন জায়েদ। তিনি পথ ভ্রষ্ট করেন দুবায়ের শাসক মুহাম্মদ বিন মাখতুমকে। যদিও মাকতুম মাত্র ১৫ বছর পুর্বেও একজন কট্টর ইসলাম পন্থী হিসেবে পরিচিত ছিল।

এই ২ শাসকের বিপথগামী হলেও বাকী ৫ শাসক এখনো বিপথগামী হয়নি। শুধু তাই নয় শারজাহ নামের অপর শক্তিশালী শাসক সুলতান মুহাম্মদ আল কাসীম একজন কট্টর ইসলাম পন্থী হিসেবে এখনো পরিচিত। এমনকি আবুধাবী কিংবা দুবাইয়ে যে বেশ্যাপনা সেটা শারজায় কম দেখা যায়।

এদিকে আরব আমিরাতের ভুখন্ডের মাঝে হরমুজ চ্যানেল এর গুরুত্বপুর্ন পয়েন্টে ওমানের যে অংশটি রয়েছে সেটিতে তুর্কিকে সামরিক ঘাটি করার প্রস্তাব দিয়েছে ওমান। সুতরাং আরব আমিরাতে আজ থেকে যে সংকটের সুচনা হয়েছে সেটা আগামীতে আবুধাবী কিংবা দুবাইকে বিভাজনে পরিনত করতে পারে। কারন আরব আমিরাত একক কোন শাসকের দেশ নয়। তাছাড়া তুর্কির সামরিক ঘাটি হলে বেশ কয়েকটি ষ্টেইট আবুধাবী সরকারকে পরিত্যাগ করবে। তুর্কিদের থেকে নিরাপত্তা সার্পোট নিতে পারে। আর আবুধাবী হয়ে উঠবে ২য় ইসরাইল, সুতরাং বিবাদ অনিবার্য..!

আল্লাহ কোরআনে বলেন, "তোমরা ইয়াহুদি এবং নাসারাদেরকে বন্ধুরুপে গ্রহন করো না" অথচ আজ আমরা তার বিপরীত দেখতে পাচ্ছি। অাল্লাহ তাদের হেদায়েত করুন, না হয় বীভৎস ভাবে ধ্বংশ কর। আর সাধারন মুসলমানদের রক্ষা কর।

সোর্সঃ মিলিটারি ডিফেন্স ফোরাম।