শাহরাস্তিতে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি

খাদ্যদ্রব্য 

বৃহস্পতিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২০
রবিউল হাসানঃ রমজান মাসে অতি মুনাফার কু-মতলবে বিভিন্ন ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট ও মজুতদারেরা নিজেদের খেয়াল-খুশি মত জিনিষ পত্রের দাম বাড়িয়ে মুনাফার নামে ‘লুট তরাজ’ করেছে। দ্রব্য মূল্য নেই নিয়ন্ত্রনে। শাহরাস্তির কিছু সংখ্যক অসাধু ব্যবসায়ী ব্যবসার নাম করে কসাইয়ের মতো মানুষদের জবাই করা শুরু করে দিয়েছে ।

সারাদেশ করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারনে চলছে লকডাউন। এতে করে সাধারণ জনগণের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে যদিও সরকার কর্তৃক সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছে যাতে মানুষ অনাহারে না থাকতে হয়।

নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের চাহিদা মেটাতে লকডাউনের আওতামুক্ত রাখা হয়েছে জরুরী ওষুধ ও খাদ্য সামগ্রী। শাহরাস্তিতে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের বাজারসহ বিভিন্ন হাট-বাজার ঘুরে দেখা গেছে প্রতিটি নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের বাজারের দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি। কোনভাবেই কমছে না প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম। এতে দিশেহারা হয়ে পড়ছেন খেটে খাওয়া মানুষেরা। বাজার করতে গিয়ে চরম বেকায়দায় পড়ছেন দিনে আনে দিন খাই লোকজন। বাজার মনিটরিং না থাকায় অসাধু ব্যবসায়ীরা রোজা অজুহাতে বিক্রেতা চাষী এবং ক্রেতা নিরীহ জনসাধারণকে রোজ ঠকিয়ে বেপরোয়া মুনাফাখোরী কারবার শুরু করেছে।


সরকার কর্তৃক নির্ধারিত মূল্য তালিকা প্রকাশ না করায় রক্ত চোষা মূল্যে বিক্রি হচ্ছে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পিয়াজ বর্তমানে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০/৭০ টাকা, আদা ২৫০/৩০০ টাকা, মসুরি ডাল ১০০ টাকা, মুড়ি ৮০/৯০ টাকা, চাউলের বস্তা ২৫০০ টাকা। বাজার করতে আসা কিছু জানসাধারণ মানুষ জানান, কাঁচাবাজারের কোন তরকারীর দাম কেজি প্রতি ৪০ টাকার নিচে নেই। মাংসের বাজারে ফার্মের মুরগির দাম সহনশীল পর্যায় থাকলেও, বেড়েছে দেশী জাতের মোরগ-মুরগি কেজি প্রতি ২২০-২৫০ টাকা, গরুর মাংস ৬০০-৬৫০ টাকা, মুরগির ডিম প্রতি হালি ৩৪-৩৬ টাকা, পাইকারি প্রতি শ’ ৮০০-৮৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

যার ফলে অল্প আয়ের লোকদের খুবই সমস্যা হচ্ছে। বর্তমানে সাধারণ মানুষ বাজার করতে গিয়ে অল্প কিছু কিনেই বাড়ি ফিরতে হচ্ছে। এতে করে সংসার চালাতে চরম বেগ পেতে হচ্ছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে সাধারণ মানুষ অতিমাত্রায় ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়বে।

জনসাধারণের বেকার জীবনে করোনায় মারা না গেলেও দ্রব মূলে অতিরিক্ত দামে কিনতে না পেরে অভাবে অনাহারে মারা যাবে অনেক মানুষ।এমনটাই মনে করছেন শাহরাস্তি উপজেলার জনসাধারণ। তাদের দাবি অচিরেই শাহরাস্তি উপজেলা প্রশাসনের দৃষ্টিতে বিষয়টি আসা প্রয়োজন।